বার্তা পরিবেশক:
সদ্য ঘোষিত সাবরাং ইউনিয়ন কৃষক লীগের কমিটি স্থগিত চেয়ে জেলা শাখা বরাবর আবেদন প্রেরণ করেছে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির নেতৃবৃন্দ ও উপদেষ্টা পরিষদ। জেলায় পাঠানো আবেদন সুত্রে জানা যায়, ১২ ফেব্রুয়ারী জুমাবার বিকালে সাবরাং বাজারে নতুন মার্কেট চত্বরে বাংলাদেশ কৃষক লীগ সাবরাং ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রথম অধিবেশন সম্মেলন শেষে পরবর্তীতে কাউন্সিল অধিবেশন এর তারিখ নির্ধারন করা হবে বলে জানিয়ে সম্মেলন স্থান ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। পরে ১৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা কুষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহেদ হোসেন সম্্রাট তার বাস ভবন থেকে আমির হোসেনকে সভাপতি, আবুল ফয়েজকে সাধারন সম্পাদক করে সাবরাং ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা করেছেন, যা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। এনিয়ে নেতা কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। যে কোনমুহুর্তে বড় ধরনের ঘটনাও হতে পারে বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল গফুর, সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান, সদস্য সাব্বির আহমদ স্বাক্ষরিত আবেদন সুত্রে আরো জানা যায়, ঘোষিত কমিটি স্থগিত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিটি ওয়াড, ইউনিয়ন কমিটির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পুর্নাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করার অনুরোধ জানান। সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল গফুর জানান, সাবরাং ইউনিয়নের তৃণমুলের নেতা কর্মীদের পরামর্শ উপেক্ষা করে কালো টাকার বিনিময়ে সাবরাংয়ের কমিটি ঘোষনা হয় হ্নীলা জাহেদ হোসেন সম্রাট এর বাসায়। অথচ সম্মেলন শেষে নেতৃবৃন্দ জানিয়ে ছিলেন পরবর্তীতে সকল কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে কমিটি ঘোষনা করার কথা থাকলেও পরদিন কাউকে না জানিয়ে আমির হোসেনকে সভাপতি, আবুল ফয়েজকে সাধারন সম্পাদক করে কমিটি ঘোষনা করা হয়। যা সম্পূর্ন অবৈধ ও গঠনতন্ত্র বিরোধী।
উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক আবুল হোসেন রাজু, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহেদ হোসেন সম্্রাট ও আমান উল্লাহ আমান জানান, কেন্দ্রীয় ও জেলার নির্দেশে সাবরাং ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা করা হয়।
জেলা সাধারন সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, যথাযথ নিয়মে সম্মেলন শেষে ইউনিয়ন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।