আইরিন আকতার, কক্সবাজার থেকে ::::
আর ক’দিন বাদেই সনাতন র্ধমাবলম্বীদের সব থেকে বড় র্ধমীয় উৎসব র্দূগা পূজা। ঢাক-ঢোল আর কাসা বাজিয়ে মাতিয়ে রাখা হবে প্রতিটা মন্ডব। আর তাই পূজার প্রস্তুতি নিতে অনেকেই ভীড় করছে ঢাক-ঢোলের দোকানে। কেউ পুরোনো ঢাক -ঢোল, নাল আর নিতঙ্গ মেরামত করে নিচ্ছে। কেউ কিনতে আসছে । আর কেউ বা ভাড়া করতে ভীড় জমাচ্ছে। তবে কারিগরেরা জানিয়েছেন আগের মত ঢাক-ঢোল মেরামত ও বিক্রি করতে পারছেনা তারা। কারন এর জায়গা অনেকটা দখল করে নিয়েছে সাউন্ড সিন্টেম।
২৬ বছর ধরে ঢাক-ঢোল, নাল ,নিতঙ্গসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের কাজ করছেন কক্সবাজার গোলদিঘীর পাড় এলাকার মা-মনি মিউজিক্যালে স্বত্তাধীকারি অধির চৌধুরী । তিনি জানান আজ থেকে ৫ বছর আগে যেভাবে ঢাক-ঢোল মেরামত আর বিক্রি হত এখন সেভাবে হয়না। সাউন্ড সিন্টেম আসার কারনে অনেক বড় বড় পূজা মন্ডপেও কাসা আর ঘন্টা বাজিয়ে আরতি শেষ করেই সাউন্ড সিস্টেম লাগিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন “ সাউন্ড সিস্টেমের কারনে আমাদের আয় অনেক কমে গেছে । আগে যেখানে ঢাক-ঢোল মেরামত আর বিক্রি করে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করতেপারতাম। এখন সেখানে ২০ থেকে ৩০ হাজারে নেমে এসেছে। ”
২০ বছর ধরে কাজ করছেন সারগাম মিউজিক্যালের স্বত্তাধীকারি লাল চাঁন দাশ। তিনি বলেন “ কয়েক বছর আগেও এ সময় ঢাল, নাল, নিতঙ্গ মেরামত ও তৈরির জন্য এতটাই ব্যস্ত থাকতাম যে কথা বলার ফুসরত পর্যন্ত পেতাম না। আর এখন পূজা এত কাছে চলে আসার পরও কাজ কাছি হারমোনিয়াম ও গিটার নিয়ে। আগে পূজার আগে যেখানে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হত সেখানে এখন ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজারও হচ্ছেনা। যারা আসে অধিকাংশ ভাড়া নিতেই আসে। ”
পূজার জন্য ঢাক-ঢোল মেরামত করতে আসেন বিডিআর ক্যাম্প এলাকার বাসিন্দা তুষার বাবু তিনি বলেন “ ঢাক-ঢোল ছাড়া র্দূগা পূজা জমেনা। অনেকে কাসা আর ঘন্টা বাজিয়ে আরতি করে সাউন্ড সিস্টেম দিয়ে কাজ চালিয়ে দেয়। কিন্তু এতে পূজার স্বাদ আমি পাইনা। তাই ঢাক-ঢোল মেরামত করতে এসেছি। হ্যা সাউন্ড সিন্টেমও থাকবে। তবে আগে ঢাক-ঢোল বাজবে। ”
জেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন “ ঢাক-ঢোল ,কাঁসা, ঘন্টা, নাল, নিতঙ্গ এসব আমাদের ঐতিহ্য ও রীতি। এসব বাদ দিয়ে কখনো র্দূগাপূজা সম্বব নয়। হ্যা সাউন্ড সিন্টেম বাজিয়ে তরুনরা আনন্দ করবে । তবে তার আগে বাজতে হবে ঢাক-ঢোল। ”